নিজস্ব প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি সদর জোন বিজয়ী বাইস এর ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালন করা হয়।
আজ সোমবার (০১ জুলাই) খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, পিএসসি এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি আসনের সাংসদ ও টাক্সফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদ মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ে শান্তি শৃংঙ্খলা বাজার রাখার পাশাপাশি এ এলাকার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিজয়ী বাইশ খাগড়াছড়ি সদর জোনের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর হতে অত্র এলাকার আইন শৃংখলার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে এবং দুস্কৃতিকারীরা অবাধে চলাফেরা ও যে কোন প্রকার অপকর্ম করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি এই ইউনিটের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ফয়জুর রহমান, এসজিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি সুশৃংখল ও আত্যপ্রত্যয়ী একটি ইউনিট। এই ইউনিট তার উপর অর্পিত সকল প্রকার দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম। এই ইউনিট প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভিযানিক, প্রশিক্ষণ এবং খেলাধুলায় বেশ সফলতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, প্রথম পাহাড়ে এই ইউনিটকে সাথে নিয়ে এসেছে এবং বিভিন্ন সময় তিনি এই ইউনিটের দ্বায়িত্বভার প্রহন করেন। আজ আবারও তাঁর আওতাধীন একটি ইউনিট। তিনি এই জোনের সাফল্য কামনা করেন।
এসময় অন্যান্যদের মাধে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি এপিবিএন স্পেশালাইজড পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অধিনায়ক আওরঙজেব মাহবুব, ডিজিএফআই কমান্ডার কর্নেল নাজিম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহা; আহমার উজ্জামান, খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ, সকল সরকারী এবং বেসামরিক সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে ২২ বীর কর্তৃক জোন কমান্ডারের বিশেষ দরবার, বিশেষ প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি সদর জোন (বিজয়ী বাইশ) এর অধিনায়ক (জোন কমান্ডার) লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, পিএসসি বলেন, বিজয়ী বাইশ একটি সুশৃংখল ও আত্যপ্রত্যয়ী ইউনিট। আমি এই ইউনিটের অধিনায়ক হিসেবে নিয়োজিত হওয়ায় গর্বিত এবং আনন্দিত। অত্র ইউনিট বর্তমানে খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে আভিযানিক দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। এই ইউনিট অত্র এলাকায় আভিযানিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক, প্রশিক্ষণ ও খেলাধুলায় সফলতা ও সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমি মহান স্বাধীনতা এবং সংবিধান রক্ষার আত্ম প্রত্যয়ে উজ্জীবিত ও আত্ম ত্যাগের মহিমায় উদ্দীপ্ত বিজয়ী বাইশ (২২ বীর) এর সকল সদস্যের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি এবং সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করছি।
পাঠকের মতামত: